বিশেষ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দুপুরে পাওয়া সরকারী অনুদানের গরু রাতেই মরে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত শনিবার উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ক্ষুদ্র মাধাইনগর গ্রামের ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর বাসিন্দা মালতী রানী উরাঁও এর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ দিকে তাড়াশে সরকারী অনুদানে সরবরাহ করা বেশীর ভাগ গরুই ভগ্ন স্বাস্থ্যের ও নিন্মমানের বলে অভিযোগ উঠেছে যা প্রকারান্তরে দুর্নীতিরই প্রতিফলন।
জানা গেছে , গত শনিবার প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে সমতল ভূমিতে অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর আর্থ সামাজিক ও জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণী সম্পদ প্রকল্পের আওতায় নির্বাচিত সুফলভোগীদের মাঝে প্যাকেজ ভিত্তিক অনুদানের গরু বিতরণ করা হয়। সে মোতাবেক পূর্বেই তাড়াশ উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন থেকে অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর ৩৯ জন নারী ও পুরুষকে বাছাই করা হয় । আর তাদের মাঝে শনিবার দুপুরে ঢাকা থেকে আসা ৩৯টি গরু স্থানীয় উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিতরণও করা হয় । সেখানে মাধাইনগর ইউনিয়নের খোর্দ্দ মাধাইনগর গ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বাসিন্দা বিরেন্দ্রনাথ উরাঁও-র স্ত্রী মালতী রানী উরাঁও ওই অনুদানের একটি রুগ্ন গরু পান এবং তা বাড়িতে নিয়ে যান । কিন্তু মালতী রানীর পাওয়া গরুটি শনিবার রাত তিনটার দিকে মারা য়ায় ।
এ খবর পেয়ে গত রোববার সকালে তাড়াশ প্রাণী সম্পদ হাসপাতালের ভ্যাটেনারী সার্জন ডা. মোঃ শরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত ওই গরুর ময়না তদন্ত করেন । তিনি জানান, গরুটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে গরুর যকৃত ,হৃদপিন্ড ,ফুসফুস ,পাকস্থলী সংগ্রহ করা হয়েছে । যা ঢাকার ল্যাবে পাঠানো হবে। তবে প্রাথমিকভাবে তিনি ধারনা করছেন গরুটির ক্ষুরা রোগ হয়ে থাকতে পারে। অপর দিকে তাড়াশ আদিবাসী বহুমূখী সমবায় সমিতির সভাপতি বিরেন্দ্রনাথ সহ অনুদানের গরু পাওয়া মালতী রানী ও একাধিক অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর লোকজন জানান, বিতরণ করা গরু গুলোর বেশীর ভাগই রোগাকান্ত , ভগ্ন স্বাস্থ্যের ও নিন্মমানের যা কমমূল্যে কেনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ ইউএনও মেজবাউল করিম বলেন , বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয়ও ব্যবস্থা নেবেন । আর তাড়াশ প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সোহেল আলম বলেন , গরুটি মরে যাওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মালতী রানীকে আরেকটি গরু কিনে দেবেন ।