সাব্বির আহম্মেদ : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ভূলে ভরা জাতীয় পরিচয় পত্রের ভূল সংশোধন করতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে শত শত নাগরিক।
তারা অভিযোগ করেছেন, উপজেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে জাতীয় পরিচয় পত্রের ভূল সংশোধন করতে দিনের পর দিন বারবার ধর্না দিয়েও তারা কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। ফলে জাতীয় পরিচয় পত্রের ভূল নিয়ে তারা সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন দপ্তরে কোন কাজও করতে না পেরে চরম হয়রানী ও ভোগান্তি পোহাচ্ছেন প্রতিনিয়ত । জানা গেছে , উপজেলার আট ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকার শত শত নাগরিক জাতীয় পরিচয় পত্রের নামের ভূল , নামের বানান ভূল , ভূল ঠিকানা, বয়সের ভূল, বাবা মায়ের নামের ভূল সহ নানা ধরনের ভূলের বোঝা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে দিন কাটাচ্ছেন।বিশেষ করে বহু ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর বয়স একই লেখা হয়েছে।
তাড়াশ পৌর শহরের বাসিন্দা নায়েব আলী জানান , বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে ভূলে ভরা জাতীয় পরিচয় নিয়ে গেলেও ভূলের কারণে প্রয়োজনীয় কাজ করতে না পেরে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন । তারপর জাতীয় পরিচয় পত্রের ওই ভূল সংশোধন করতে গিয়ে আবারও উপজেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে দ্বিতীয় দফা হয়রানীতে পরছেন তারা।
আবার উপজেলার ওয়াশিন গ্রামের স্কুল শিক্ষক খায়রুল ইসলাম জানান , জাতীয় পরিচয় পত্রে তার ও বাবার নামের বানান ভূল থাকায় তা সংশোধনের জন্য তাড়াশ উপজেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে যান । সেখানে তাকে জানানো হয় কর্মকর্তা নেই পরে আসবেন । পরের দিন আবারও সেখানে গেলে তাকে বাজারের কোন কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে আবেদন করতে বলা হয় । তিণি অভিয়োগ করেন সেখানে তাকে সঠিক পরামর্শও দেওয়া হয়নি বরং তাকে হয়রানী করা হয়েছে। এ সমস্যা শুধু নায়েব আলী বা শিক্ষক খায়রুল ইসলামের নয় । প্রতিদিন এ ধরনের ভূল সংশোধন করতে উপজেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আসছেন গড়ে ২০ থেকে ২৫জন নাগরিক। যাদের বেশীর ভাগেরই অভিযোগ উপজেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে কর্মরতদের আন্তরিকতার অভাবে তারা প্রতিকারের পথ পাচ্ছেন না । এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা উজ্জল রায় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন , প্রায় প্রতিদিনই ভূলে ভরা জাতীয় পরিচয় নিয়ে অনেকেই আসেন এবং তাদেরকে সঠিক পরামর্শও দেওয়া হয় ।