তাড়াশ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিএডিসি সেচ লাইসেন্সে অগভীর নলকুপে বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে কৃষকের সীমাহীন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধান চাষে সেচ ব্যহত হওয়ার আশংকা করছে ভুক্তভোগী কৃষক এনামুক হক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের ভোগলমান গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে কৃষক এনামুল হক গত ১৭.০৪.২০১৯ ইং তারিখে সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১, তাড়াশ জোনাল অফিস বরাবর সেচ সংযোগের জন্য আবেদন করেন। পরবর্তিতে ওই কৃষক উপজেলা সেচ কমিটি বরাবর আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিএডিসি, তাড়াশ ইউনিট থেকে সেচ কমিটির লাইসেন্স প্রাপ্ত হন। যার লাইসেন্স নম্বর ১৬৯, তারিখ ১৮.০৬.২০১৯। ওই লাইসেন্সের আলোকে সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১, তাড়াশ জোনাল অফিস গত ৩১.১০.২০১৯ ইং তারিখে লাইন নির্মানের জন্য পত্র প্রেরণ করেণ। কৃষক এনামুল হক পত্র মোতাবেক ০৩.১১.২০১৯ তারিখে ট্রান্সফর্মার ক্রয় করেন এবং ২২.১২.২০১৯ তারিখে বিদ্যুৎ অফিসে অর্থ জমা দিলে লাইন নির্মাণ সম্পন্ন হয়। সেচ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর তাড়াশ জোনাল অফিসের ডিজিএম মুহম্মাদ আশরাফ উদ্দিন খানের নিকট সেচ সংযোগের জন্য যোগযোগ করেন। কিন্তু ডিজিএম বলেন, ওই লাইন সংযোগের উপর অত্র ভোগলমান এলাকার আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগ করেছেন, সেচ সংযোগ দেয়া যাবে না।
ভুক্তভোগী কৃষক এনামুল হক বলেন, নিয়ম-নীতি অনুসরণ করেই বিএডিসি আমাকে সেচ লাইসেন্স দিয়েছে। আব্দুল রাজ্জাকের অভিযোগের সাথে আমার সেচ সংযোগের কোনই সম্পৃক্ততা নেই। কিন্তু ডিজিএম সাহেব আমাকে সেচ সংযোগ না দিয়ে অহেতুক বরাবর হয়রানি করছেন এবং সেই সাথে ইরি-বোরো চাষ হুমকীর মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। তাড়াশ জোনাল অফিসের ডিজিএম মুহম্মাদ আশরাফ উদ্দিন খান বলেন, একটু জটিলতা রয়েছে। উপজেলা সেচ কমিটি ক্লিলিয়ারেন্স না দিলে সেচ সংযোগ দেয়া সম্ভব নয়। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল করিম বলেন, বিষয়টির জেনে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা