মোঃ আবুল কালাম আজাদ : মাঘের শীতের অপরাহ্নে ফাগুনের হিম হিম মৃদু তপ্ত শির শিরানি বাতাসের আগমন ঘটেছে চির চেনা এই বাংলায়। কবিরাও জেগে উঠেছে বাহারি ছন্দের কবিতার স¦প্নের ঘোরে। তেমনি একই তালে তাল মিলিয়ে মাঘের শীতকে জয় করে নাটোরের গুরুদাসপুরের আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা কোমর বেধে নেমেছেন গনসংযোগে। যাচ্ছেন ভোটারদের কাছে দোয়া নিতে।
তাইতো উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে বইছে নির্বাচনের হাওয়া। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজেদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক বংশ মর্যাদা, সামাজিক মর্যাদা ও রাজনৈতিক অবস্থান তুলে ধরে পোষ্টার,ব্যনার, ফেষ্টুন, বিলবোর্ডে লিখে নানান রঙে, নানান ডিজাইনে ছাপিয়ে দেয়ালে, গাছে সড়কের দর্শনীয় স্থানে টানিয়ে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। সভা, সেমিনার, সামাজিক ও ধর্মীয় সভা, উঠান বৈঠক দিচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি। ইউনিয়ন নির্বাচনের তপশিল এখনও ঘোষনা হয়নি। কিন্ত থেমে নাই আসন্ন নির্বাচনের সম্ভাব্য পদপ্রার্থীদের। চেয়ারম্যান, মেম্বর এবং সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর প্রার্থীরা কেউ কাউকে জনসংযোগে পিছিয়ে ফেলতে পারছেনা।প্রচারনার দৌড়ে সবাই যার যার মত এগিয়ে চলেছেন।
গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর, বিয়াঘাট, খুবজিপুর, মশিন্দা, ধারাবারিষা এবং চাপিলা ইউনিয়নসহ ছয়টি ইউনিয়ন থেকে নির্বাচনী হাওয়া থেকে পাওয়া সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদে ৩৭ জনের মধ্যে অনেকেই নতুন মুখ। এছাড়া সম্ভাব্য মেম্বর ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর প্রার্থীর সংখ্যা সাড়ে তিন‘শরও বেশী । সম্ভাব্য প্রর্থীদের সরব পদচারনায় নির্বাচনী উত্তাপ বইছে গ্রামে, পাড়ায়, মহল্লায়, প্রতিষ্ঠানে, হাটে-বাজারে, চা ষ্টলে, মাঠে-ঘাটে সবখানে। এখন আলোচনার একটাই বিষয়, আসন্ন ইউনিয়ন নির্বাচনকে ঘিরে। মুলায়ন করতে শুরু করেছে বর্তমান ক্ষমতায় থাকাদের উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে। আবারো ক্ষমতায় এলে তাদের কাছে কেমন সেবা পাওয়া যাবে। আবার নতুন মুখ সম্ভাব্য প্রার্থীদের কে কেমন, কার বংশ কেমন, কার ভোট ব্যাংক কেমন, কে জনগনের ভালো সেবা দিতে পাবে ,আবার দলীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রেকে দলীয় প্রতিক পাবে , না পেলে কে কে বিদ্রোহী অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পাবে ইত্যাদি ইত্যাদি।