চাটমোহর প্রতিনিধি :পাবনার চাটমোহরে অবৈধভাবে স্থাপিত ইটভাটায় অবাধে কাঠ পুড়ছে। দিনের বেলা কাঠ পোড়ানো না হলেও রাতভর চলে এই কর্মযজ্ঞ। একইসাথে বেআইনিভাবে ফসলি জমি খনন করে নেই মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অবৈধভাবে স্থাপিত এসকল ইটভাটায়। নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে খনন হচ্ছে ফসলি জমি। খননের মাটির বেশিরভাগই যাচ্ছে যত্রতত্র গড়ে ওঠা লাইসেন্স বিহীন ইটভাটায়। যেন দেখার কেউ নেই। খননে কমছে ফসলি জমির পরিমাণ, ইটভাটায় ব্যাহত হচ্ছে ফল-ফলাদিসহ ফসল উৎপাদন,আর ঘটছে বায়ু দূষণ। জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে-কিভাবে প্রকাশ্যে এই বে-আইনি কর্মকান্ড চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলায় ইটভাটা রয়েছে ১১টি। এসব ইটভাটা গড়ে ওঠেছে ফসলি জমির মাঠে, পাকা সড়ক আর বসতি এলাকার পাশেই। কিছু ইটভাটার পাশে আছে বাজারও। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী-এসব ইটভাটার একটিরও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের লাইসেন্স নেই। পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র আর পণ্যে মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিএসটিআই’র অনুমোদন আছে মাত্র একটির। নেই পরিবেশ অধিদপ্তর ও কৃষি বিভাগের ছাড়পত্র। অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। দিব্যি ব্যবসা করছে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেওয়া ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে। বিধান রয়েছে বসতি এলাকা ও পাকা সড়কের ধারের কাছে ইটভাটা করা যাবে না। জমির শ্রেণী পরিবর্তন করাও যাবে না।
চাটমোহর উপজেলার হরিপুর, ডিবিগ্রাম, মথুরাপুর, মূলগ্রাম, হান্ডিয়াল, গুনাইগাছা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ফসলি জমি কেটে পুকুর খননেন হিড়িক পড়েছে। এলাকাবাসী অভিযোগ করেও কোন ফল পাচ্ছে না।
কৃষকরা জানিয়েছে, ইটভাটার ধোয়া ফসল উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে নানা জাতের দেশিয় ফল উৎপাদনেও। ঘটছে বায়ু দূষণ। এব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সৈকত ইসলাম বলেন, অবৈধ ইটভাটার বিরদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।