লুৎফর রহমান : ঋতুরাজ বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে জমে উঠেছে ফুলের কেনা বেচা । শহর জুড়েই যেন উৎসবের ঘনঘটা আর এই দুই উৎসবেরই কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ‘ফুল’নানান রঙ, নাম ও সুগন্ধের ফুল। হাজার বছর ধরে ভালোবাসা আর পবিত্রতার প্রতিক হিসেবেই যার পরিচিতি। তাইতো বছরের আনন্দ উৎসব গুলো সামনে রেখে প্রতীক্ষায় থাকে ফুল ব্যবসায়ীরা।
বসন্তবরন ভালোবাসা দিবস ও মহান একুশে ফেব্রয়ারীকে সামনে রেখে ফুল মজুদ করেছেন ব্যবসায়ীরা। শনিবার (১৩ ফেব্রয়ারী) সকালে পৌর শহরের ফুল বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, তিনটি বিশেষ দিন পালনের লক্ষ্যে আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তারা। কেবল বসন্ত বরন ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ফুল বিক্রি করে অর্জিত হবে কাঙ্খিত লক্ষ্য ও।
এদিকে পৌর শহরের গড়ে ওঠা দোকানগুলোতে এখন শোভা ছড়াচ্ছে আমদানি করা ফুল। এসব ফুল দিয়ে চলছে বিভিন্ন ধরনের মালা গাঁথা, ফ্লাওয়ার রিং তৈরি ও কাগজ মোড়ানোর কাজ। গুরত্বপূর্ন দু’টি দিন একই সাথে হওয়ায় কেনাবেচা জমেছে তাদের। তবে গত বছরের চেয়ে এবার ফুলের দাম বেশি বলে মনে করছেন ক্রেতারা। তাই বাড়তি দামে ব্যবসায়ীদের মুখে হাঁসি ফুটলেও বছরের বিশেষ এই দিনে কিছুটা নারাজ হচ্ছেন ক্রেতারা।
প্রতিটি ফুল দোকানের সামনেই রয়েছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের –তরুন তরুনীরা দরদাম করে নিজ নিজ পছন্দের ফুলটি । আবার কেউ কেউ নিজ মাথার মাপ মত বাহারি ফুল দিয়ে তৈরি করা ‘ফ্লাওয়ার রিং’ পরিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীদের দিয়েই।এর মধ্যে লাল গোলাপ, জুঁই, চামেলী, জারবেরা, রজনীগন্ধা, গাঁদাসহ নানা রঙ ও বর্ণের ফুল রয়েছে। বেশির ভাগ ফুলই আমদানি করা হয়েছে যশোরের ঝিকড়গাছা থেকে। বাজারে ফুল ব্যবসায়ী গোপাল সরকাব বলেন বসন্ত জুড়েই তাদের ব্যবসার মৌসুম। পয়লা বসন্ত ভালোবাসা দিবস, একুশে ফেব্রয়ারী পযর্ন্ত তাদের ব্যবসা জমজমাট থাকে।ফুল কিনতে আসা তাড়াশ সরকারী বালিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ফারজানা বিনতে আফরিন বলেন, ফুলের দাম চড়া। তাই ১০ টাকার একটি গোলাপ ৩০ টাকায় নিতে হচ্ছে। আর একটি সাধারণ ফ্লাওয়ার রিং ১২০ টাকা এবং গোলাপ দেওয়া রিং ১৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।