আবুল কালাম আজাদ : ১৬ জানুয়ারী শনিবার অত্যন্ত শান্তিপুর্ন আর উৎসবমুখর পরিবেশে নাটোর জেলার গুরুদাসপুর পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে, যা ছিল সারা বাংলাদেশের প্রচলিত সমালোচনা সহিংসতা মুখর প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনী পরিবেশের একটি জলন্ত উদাহারন।
গুরুদাসপুর পৌরসভার সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনকে নিয়ে নাই কোন প্রার্থী,ভোটার,সাধারন জনগন, পর্যবেক্ষক,সাংবাদিকের অভিযোগ। এত শান্তিপুর্ন নির্বাচন গুরুদাসপুরের জনগন কোনদিন দেখেছে বলে মনে হয়না। তাইতো এই নির্বাচনে জামানত বাজেয়াপ্ত হলেও শেষ পর্যন্ত মাঠে থেকেও অনিয়মের কোন অভিযোগই আনতে পারেননাই বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী এ্যাডভকেট আজমুল হক বুলবুল। তিনি পেয়েছেন ৬৯২ ভোট। উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক এবং সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন (মোবাইল ফোন) স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ২১৯৪ ভোট এবং আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস সালাম রনি কেরামবোর্ড প্রতিকে ৪১৪ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। পরাজিত প্রার্থীদের হাতে কোন ইসু না থাকায় অকপটে মেনে নিয়েছেন ১৬ জানুয়ারীর ভোট। এতেই বুঝা যাচ্ছে গুরুদাসপুর পৌরসভার অনুষ্ঠিত নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তপুর্ন এবং নিরপেক্ষ হয়েছে। আর নির্বচন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, প্রার্থী, সমর্থক, নেতা-কর্মী, ভোটার ও গুরুদাসপুরের শান্তিপ্রিয় জনগন প্রশংসা পাওয়ার দাবিদার নিঃসন্দেহে।
নির্বাচনে তিন মেয়র প্রার্থীসহ ৮ কাউন্সিলর এবং তিন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া কাউন্সিলররা হচ্ছেন- ১ নং ওয়ার্ডের বেলাল প্রাং(ব্লাকবোর্ড) ভোট পেয়েছেন ৩৯ টি, ২ নং ওয়ার্ডের অনুকুল কুমার দাম( ডালিম) ভোট পেয়েছেন ৪২ টি, ৫ নং ওয়ার্ডের হাসিবুল হাসান মোংলা(ডালিম) ভোট পেয়েছেন ২৪টি, ৬ নং ওয়ার্ডের সোহাগ তালুকদার(ডালিম) ভোট পেয়েছেন ৫৫ টি,৮ নং ওয়ার্ডের শাফিকুল অইসলাম(টেবিল ল্যাম্প) ভোট পেয়েছেন ৬০ টি, ইমদাদুল হক (ডালিম) ভোট পেয়েছেন ১৪৮ টি, ৯ নং ওয়ার্ডের ছাইদুল ইসলাম প্রাং (ডালিম) ভোট পেয়েছেন ৯ টি এবং একই ওয়ার্ডেও সুমন রানা ভোট পেয়েছেন ১৭ টি।