লুৎফর রহমান : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মো: ফজলুল হক (৪৩) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথকভাবে ২টি প্রতারণা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফজলুল হক উপজেলার তালম ইউনিয়নের বড়ইচড়া ভেংরী গ্রামের মো: ছবের আলীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জন্তিপুর গ্রামের মৃত মোনতাজ আলীর ছেলে মো: জামাল উদ্দিনের নিকট হতে প্রতারক মো: ফজলুল হক ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ২০ লক্ষ টাকা কর্জ নেন। ১ মাসের মধ্যে কর্জের সুমুদয় টাকা ফেরৎ দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি তা না করে শেরপুর হাইওয়ে শাখার ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি: যার হিসাব নম্বর: ২০৫০১৭৩০১০০২৪৪৫০২ স্বাক্ষরিত চেক প্রদান করেন। চেকটি নিয়ে জামাল উদ্দিন টাকা উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে গেলে তিনি জানতে পারেন ওই হিসাব নম্বরে টাকা নেই এবং চেকটি ডিজঅনার করা হয়।
নিরুপায় হয়ে জামাল এন আই এ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় মামলার জন্য বগুড়া আদালতের শরনাপন্ন হন। এ্যাক্টের ১৩৮ ধারা মোতাবেক এ্যাড: মোছা: শাপলা খাতুন তার মক্কেল জামাল উদ্দিনের পক্ষে ফজলুল হকের নামে ডাকযোগে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। নোটিশটি পাওয়ার পরে টাকা জামাল পরিশোধের জন্য ২ মাস সময় নেন। কিন্তু ২ মাস অতিবাহিত হলে জামাল উদ্দিন স্বাক্ষীগণসহ ফজলুল হকের বাড়ি উপস্থিত হয়ে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে আবারও ১ মাসের সময় নেন। পরবর্তীতে ১ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরে তার কাছে বাঁকী ১৯ লক্ষ টাকা চাইলে ফজলুল হক অস্বীকার করেন। পরে বাধ্য হয়ে জামাল উদ্দিন সিরাজগঞ্জ বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে প্রতারক ফজলুল হক প্রতারণার মাধ্যমে ৩ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগে ওই আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন একই ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রামের মৃত নেজাহার আলীর ছেলে মো: গোলাম রব্বানী। ভুক্তোভূগী জামাল উদ্দিন ও গোলাম রব্বানী বলেন, প্রতারক ফজলুল হক আমাদের টাকা পরিশোধ না করে বিদেশে যাওয়ার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছে। দ্রুত আদালতের মাধ্যমে আমরা টাকা ফেরত পাওয়ার আশা করছি।