বিশেষ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সামছুল হক (৫৫) নামে সেই ন্যায় বঞ্চিত কৃষকের নামে এবার থানায় হয়রানিমূলক জেনারেল ডাইরি (জিডি) করা হয়েছে। দেশীগ্রাম ইউনিয়নের চৌরা গ্রামের তায়জুল হোসেন নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি নিজের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি থেকে বাঁচতে গত শনিবার তাড়াশ থানায় সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কাল্পনিক তথ্য দিয়ে এ জিডি করেছেন, অভিযোগ কৃষক শামছুল হকের।
দেশীগ্রাম ইউনিয়নের গুড়পিপুল গ্রামের ঐ ভুক্তভোগী কৃষক শামছুল হক বলেন, বিএডিসি সেচ কমিটি কর্তৃক বিএডিসি সমন্বিত ক্ষুদ্র সেচ নীতিমালা-২০১৭ বহির্ভূতভাবে একটি অগভীর নলকূপের লাইসেন্স পেয়ে তা বৈধ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন তায়জুল হোসেন। অনিয়ম ও দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে তিনি ভূমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা উপেক্ষা করে রাতারাতি ভূমি শ্রেণি পরিবর্তন করে চলেছেন।
“তায়জুল হোসেনের যে জমিতে কৃষি কাজে সেচের জন্য অগভীর নলকূপের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, বস্তুত সে জমির শ্রেণি পুকুর। তাছাড়া তায়জুল হোসেনের অগভীর নলকূপের সংযোগ স্থলের মাত্র ৪৯০ ফুট দূরত্বের মধ্যেই মোহাব্বত আলী নামে এক কৃষক বিএডিসি সেচ কমিটি হতে অগভীর নলকূপের লাইসেন্স নিয়ে সেচ কাজে ব্যবহার করছেন।” এ নিয়ে প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্টদের দ্বারে-দ্বারে ঘুরে অবশেষে তা না পেয়ে ২৪/১২/২০২০ তারিখে সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ বরাবর, ০৮/১১/ ২০২০ তারিখে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি মো. মেজবাউল করিম বরাবর ও ০৪/১১/২০২০ তারিখে সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ তাড়াশ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন খান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।কৃষক শামছুল হক আরো বলেন, উপজেলা বিএডিসি সেচ কমিটি কর্তৃক প্রভাবশালী তায়জুল হোসেন বিএডিসি সমন্বিত ক্ষুদ্র সেচ নীতিমালা-২০১৭ বহির্ভূতভাবে অগভীর নলকূপের লাইসেন্স নিয়ে তা বৈধ করার জন্য একের পর এক হীন কৌশল অবলম্বন করে চলেছেন। সর্বপরি সম্পূর্ন অসত্য তথ্য দিয়ে দিয়ে থানায় জিডি করেছেন।
ঐ কৃষক এও বলেছেন, ইতোমধ্যে তায়জুল হোসেনের সব অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত করা হয়েছে। তিনি উপজেলা সেচ কমিটির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন। প্রয়োজনে তিনি কৃষকদের সাথে নিয়ে মানববন্ধন করবেন, অনশনে বসবেন। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলে আশিক বলেন, জিডি তদন্তপূর্বক আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।