আবুল কালাম আজাদ .
আজ শুক্রবার ভোরে পুর্ব আকাশে সূর্যদয় হয়েছে নতুন বছরের নতুন বার্তা নিয়ে। শুভ হোক আগামি দিনের পথ চলা।কভিড- ১৯ এর বৈশি^ক মহামারির আতঙ্ক নিয়ে শুরু হয়েছিল বিষাদময় ২০২০ সাল। থেমে গিয়েছিল শিক্ষাসহ বৈশি^ক মানব জীবন। ২০২০ সালের সারা বছরই ছিল শিক্ষার্থীদের জন্য অশুভ বার্তা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল বন্ধ। না ছিল ক্লাশ রুমে অধ্যয়ন, না ছিল পরিক্ষা । সরকার বার বার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি পরিবর্তন করে আগামি ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি বাড়িয়েছে। তারপরও নিশ্চয়তা নাই শিক্ষাপতিষ্ঠান খোলার। এভাবেই একটি বছর লেখা-পড়াহীন গৃহবন্দি জীবন কাটাতে হয়েছে। প্রানঘাতি করোনা আতঙ্কে ঝড়ে পরেছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মুল্যবান শিক্ষা বর্ষ।
এদিকে ২০২০ শিক্ষা বর্ষকে বিদায় জানিয়ে আজ ১ জানুয়ারি শুক্রবার ২০২১ নতুন শিক্ষা বর্ষ শুরু হলো। সরকারের প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী নতুন শিক্ষা বর্ষের প্রথম দিনেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সকল শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামুলে পাঠ্যবই তুলে দেওয়া। সেজন্য প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। নিয়ম মোতাবেক প্রতি বছরের শুরুতেই বই উৎসব হলেও এবারে তার ব্যতিক্রম হয়েছে। বৈশি^ক মহামারী করোনাভাইরাসের ২য় প্রবাহ চলায় আনুষ্ঠানিকভাবে বই উৎসব বাতিল করেছে সরকার কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কারনে।
শিশুবান্ধব প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল ৩১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় ভার্চুয়ালী আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরন উদ্বোধন করেন।
আজ ১ জানুয়ারি থেকে সারা দেশের ন্যায় নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলাতেও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ম মেনে সপ্তাহে তিনদিন করে জানুয়ারি মাসব্যাপি ১২ দিনে ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেনির শিক্ষার্থিদের মধ্যে বই বিতরন করা শুরু হয়েছে বলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. হাফিজুর রহমান জানান।
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যামক শিক্ষা অফিসের তথ্যে জানা যায় শিশু শ্রেনি থেকে নবম শ্রেনির ও সমমানের ৫৫,৭৬০ জন শিক্ষার্থীর জন্য নতুন বইয়ের মোট চাহিদা ছিল ৫ লাখ ৪ হাজার বই। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বই পাওয়া গেছে ৫০% শতাংশ।