বাঁশিতে চলে মুক্তিযোদ্ধার সংসার

Spread the love

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি : বাঁশি আর শিশু পাগল ষাটোর্দ্ধ বৃদ্ধ শাহাদৎ হোসেন মধু। তাঁর বাঁশির মধুর সুরে শিশুরা পিছুপিছু ঘোরে। শিশুদের আনন্দ দিয়েই তিনি আনন্দ পান। তাই শিশুরাই তাঁর সঙ্গী। অনেক সময় শিশুদের মাঝে বাঁশি বিতরণ করেন। নাটোরের গুরুদাসপুরের পথেপ্রান্তরে গত কয়েকদিন ধরে জোকারি পোশাকে ঘুরতে দেখা যায় তাঁকে। মৃদুভাবে নেচে নেচে বাঁশিতে মধুর ঝংকার তুলেন তিনি। বিজয় দিবসে উপজেলা চত্বর, স্মৃতিসৌধ, থানা ও পৌরসভার সামনে দিনভর বাঁশি বাজিয়ে শিশুদের আনন্দ দিতে দেখা যায় ৬৬ বছর বয়সী মধুকে। শুধু শিশুরাই নয়, তাঁর বাঁশির সুরে মুগ্ধ হন অন্যরাও। যা বকশিস পান তা দিয়েই সংসার চালান।
জানা যায়, গুরুদাসপুরের পাশর্^বর্তী বড়াইগ্রামের ভিটেকাজিপুর শাহাদৎ হোসেন মধুর বাড়ি ছিল। বাঁশি বাজিয়ে যা আয় হয় তা দিয়েই সংসার চলে তাঁর। মুক্তিযুদ্ধ করেছেন চলনবিল অধ্যুষিত নওগাঁ ও কচুগাড়ি এলাকায়। অথচ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন তিনি আজো মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি। এখন তিনি ভূমিহীন। পেটের দায়ে স্ত্রী বাছিরন ও দুই মেয়েসহ খাগড়াছড়ির দীঘিনালা এলাকায় থাকেন। মাঝে মধ্যে এলাকায় আসেন। বিশেষ করে মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে লাল-সবুজের পোশাকে তাঁকে দেখা যায়।
ওই এলাকার সাংবাদিক মাহমুদুল হক খোকন জানান, মজার মানুষ হাসির মানুষ বাঁশিওয়ালা মধু চাচা। তাঁর অনেক দুঃখ। তিনি যুদ্ধ করেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি। দুঃখ ভুলে থাকতেই তিনি বাঁশির সুর তুলে ঘুরে বেড়ান। স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস তাঁকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাইয়ের দিন উপস্থিত থাকতে বলেছেন। তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর ‘ঘর’ উপহার দেয়ার জন্য অনেকেই দাবী জানিয়েছেন।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD