ডাঃ আমজাদ হোসেন মিলন: পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের সর্বাধিনায়ক উত্তর বঙ্গের লাল সুর্য্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, ৬৫-সিরাজগঞ্জ-৪ উল্লাপাড়া আসনের সাবেক এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল লতিফ মির্জার ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার প্রতি গবীর শ্রদ্ধা জানিয়ে শ্রদ্ধান্জলি দিয়ে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন সাবেক এমপি ও উল্লাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম শফি, উপজেলা আওয়ামীলীগের আহব্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জাহেদুল হক,পৌর মেয়র এস এম নজরুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান পান্না, প্যানেল মেয়র আমিরুল ইসলাম আরজু এবং মাহবুব সরোয়ার বকুল সহ আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের অন্যান নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুল লতিফ মির্জা সিরাজগঞ্জ জেলার রাজনীতিবিদ যিনি পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করেন। আব্দুল লতিফ মির্জা মুক্তিবাহিনীর সদস্য ছিলেন। তিনি ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন পাবনা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
৭ মে ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি সিরাজগঞ্জ-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আব্দুল লতিফ মির্জা ২০০৭ সালের ৫ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।সিরাজ গঞ্জ বাসীর ভাগ্যাকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র সেই দিনই অস্তমিত হয়েছে,যেদিন কৃষক, দিনমজুর,গরীব,দুখি মানুষের কাতারের মানুষটি চলে গেছেন। তিনি ছিলেন মাঠ পর্যায়ের মধ্যবৃত্ত থেকে সাধারণ মানুষ ও দিন মুজুর নাপিত ধোপার সবার প্রাণের মানুষ ছিলেন। তার মধ্যে কোন আত্ম অহংকার ছিলো না। বাংলাদেশে লতিফ মির্জার মতো নেতার জন্ম আর হবে না। দলমত নির্বিশেষে সবার বিপদে আপদে পাশে দাঁড়াতেন।