ফারুক আহমেদঃ সিরাজগঞ্জ সলঙ্গায় সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানা পুকুরে ওয়াল না থাকায় গ্রামীণ ও আঞ্চলিক সড়কগুলো ক্রমান্বয়ে পুকুরে ধসে পড়ছে। এতে যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্থ হয়ে বাড়ছে জনদুর্ভোগ। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে মূল্যবান পাকা – কাঁচা সড়ক পথ। একশ্রেণী প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা এ ধরণের সরকারি সম্পদ বিনষ্টের কাজে জড়িত। মৎস্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে সলঙ্গা জুরে তালিকাভুক্ত ছোট – বড় ১ হাজার ২ শত ১৫টি পুকুর রয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায, আমশড়া জোপুকুর হতে প্রায় হাফ কিলোমিটার উত্তরে ছোরয়ারের বাড়ি সংলগ্ন ও সলঙ্গা টু ঝুরঝুরি সড়কের নুনিয়ারপাড় নামক মোড় ও আমশড়া আমানোতে বাড়ি সংলগ্ন সড়ক দুইটি বেশ খানিকটা সদ্য সংস্কার করা পাকা অংশ পুকুরে ধসে পড়েছে। এ সড়ক দিয়ে ঝুঁকিতে সবাই যাতায়াত করছেন। তাছাড়া ধুবিল নিমগাছি আঞ্চলিক সড়ক, রৌহদহ হতে সাকুর্শি আঞ্চলিক সড়ক, আমশড়া জোড়পুকুর বাজার হতে দবিরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক, চাড়া বটতলা হতে উনুখাঁ আঞ্চলিক সড়ক, বেতুয়া হতে মালতিনগর সড়ক, সলঙ্গা সদরসহ বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কের গাঁ ঘেসে রয়েছে শ’ শ’ পুকুর। অধিকাংশ পুকুরেই গাইড ওয়াল নাই। এসব এসব সড়কের যে অংশ পুকুরের পাড় হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে সেখানেই ভাঙন শুরু হয়েছে। সলঙ্গা – সলঙ্গা সড়কের রৌহদহ গ্রামের পুকুর মালিক নযেশ আলী নামে ১জন পুকুর মালিক জানান,খননের সময়ই তিনি পুকুরের গাইড ওয়াল করে দিয়েছেন। তবে অন্যরা সবাই এমনটি না করায় সড়ক – রাস্তাগুলো দ্রুত বিনিষ্ট হচ্ছে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, সচেতনতার মাধ্যমেই সমাধান জরুরি। পুকুর মালিকদের উচিত গাইড ওয়াল করে দেওযা।
ফারুক আহমেদ