স্টাফ রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সাব-রেজিষ্টার অফিসে বালাম বই সর্বরাহ না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন জমির মালিক ও নকল নবিশরা। বালাম বইয়ের অভাবে আড়াই বছর যাবৎ দলিল লিপিবদ্ধ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে নিবন্ধনের দীর্ঘ সময় পরও মূল দলিল না পেয়ে জমির খাজনা-খারিজ করতে পারছেন না জমির মালিকরা। অন্যদিকে বালাম বইয়ের অভাবে কাজ করতে না পেরে উপজেলা সাব-রেজিষ্টার অফিসে কর্মরত ১১জন নকল নবিশ দীর্ঘদিন যাবৎ বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাব-রেজিষ্টার অফিসে ২০১৬ সালের মে মাসের পর থেকে সরকারিভাবে কোন বালাম বই সর্বরাহ করা হয়নি। এ কারণে আড়াই বছরেরও অধিক সময় ধরে সংশ্লিষ্ট বিভাগ নিবন্ধন হওয়া জমিগুলোর মূল দলিল বালাম বইয়ে লিপিবদ্ধ করতে না পেরে জমি মালিকদের তা দিতে পারছেন না। নিবন্ধনকৃত জমি বালাম বইয়ে লিপিবদ্ধ না হওয়ায় শ’ শ’ জমির মালিক তাদের জমির মূল দলিলের নিরাপত্তা নিয়েও বেশ চিন্তিত। জমির মালিক আব্দুস সোবাহান, রহিম মন্ডল, এসহাক সরকার ও আবু তালেব জানান, দেড়-দুই বছর বছর যাবৎ তারা জমি নিবন্ধন করেছেন। অথচ এখনও তাদের মূল দলিল দিতে পারেনি সাব-রেজিষ্টার অফিস। যে কারণে ওইসব জমিগুলোর খাজনা-খারিজও তার করতে পারছেন না। এদিকে সাব-রেজিষ্টার অফিসের একাধিক নকল নবিশ জানিয়েছেন, সাধারণত একজন নকল নবিশের প্রতিমাসে ৩০০ পাতার দলিল বালাম বইয়ে লিপিবদ্ধ করার নিয়ম রয়েছে। প্রতি পাতা দলিল লিপিবদ্ধ করার বিনিময়ে তারা ২৪ টাকা হারে সন্মানী পেয়ে থাকেন। তারা কাজ করলে পারিশ্রমিক পান। আর কাজ না থাকলে কিছুই পান না। বালাম বই না থাকায় তাদের রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ সাব-রেজিষ্টার অফিসের সাব-রেজিষ্টার ফারহানা আজিজ সাংবাদিকদের বলেন, বালাম বইয়ের জন্য জেলা রেজিষ্টার অফিসে চাহিদাপত্র পাঠিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ অব্যহত রাখা হয়েছে।