গোলাম মোস্তফা: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে উর্বর আবাদি জমি কেটে আশঙ্কাজনক হারে পুকুর খনন করা হচ্ছে। সরেজমিনে জানা যায়, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর থেকেই খনন যন্ত্র দিয়ে জমি কেটে পুকুর খনন চলছে। চলতি বছর ইতোমধ্যে প্রায় শতাধিক পুকুর নতুন করে খনন করা হয়েছে। এসব উর্বর জমিতে পুকুর খননের ফলে একদিকে যেমন আবাদি জমির শ্রেণি পরিবর্তন হচ্ছে। অন্যদিকে খাদ্য উৎপাদন ব্যাপকহারে কমতে শুরু করেছে।
কৃষক শাজাহান আলী, মোকলেছুর রহমান, বাবলু সরকার, ইসাহাক উদ্দীনসহ আরও অনেকে জানান, ইরি-বোরো চাষাবাদে যথেষ্ট শ্রম দিয়েও কাঙ্খিত লাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। তাই অধিক লাভের আসায় আবাদি জমি কেটে পুকুর খনন করছেন। এসব পুকুরে তারা নিজেরা মাছ চাষ করছেন, আবার কেউবা মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে মৎস্য চাষিদের কাছে লিজ দিচ্ছেন। এদিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, তাড়াশে ছোট-বড় মিলে ৫ হাজারের মতো পুকুর রয়েছে। এরপরও গত ৫ বছরে ৬০০ মতো নতুন পুকুর খনন করা হয়েছে। ফলে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকীর মুখে পড়ছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফ্ফাত জাহান বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুযায়ী অনুমতি ছাড়া ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। পুকুর খনন বন্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।
