শাহজাহান আলী : তাড়াশে জেডিসি পরীক্ষায় মাদ্রাসা শিক্ষকদের কক্ষ প্রত্যাবেক্ষকের পদ থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে কেন তা এক রহস্যজনক ব্যাপার।
উল্লেখ, তাড়াশের মাদ্রাসা কেন্দ্রে মাদ্রাসার শিক্ষকদের পরিবর্তে জেনারেল শিক্ষকদের দিয়ে কক্ষ প্রত্যাবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে মাদ্রাসার শিক্ষকগন দারুণভাবে ব্যথিত হয়েছেন। দেশে স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর প্রথম এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে ভুক্তভোগী অভিযুক্তরা জানিয়েছেন। হাইস্কুলের শিক্ষকরা মাদ্রাসা কেন্দ্রে আর মাদ্রাসা শিক্ষকগণ গুল্টা স্কুলে ডিউটি করবেন এমন সিদ্ধান্ত সিরাজগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক জানানো হয়েছে ।এই নির্দেশের পর শিক্ষক মহলের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাড়াশের মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা আব্দুল করিম বলেন,এটা অন্যায় অবৈধ্য। মাদ্রাসা বোর্ডে এ রকম সিদ্ধান্ত নেই। সেক্রেটারী মাওলানা সানোয়ার হোসেন বলেন, দেশের কোথাও এ নিয়ম নেই। কোন্ কারণে আমাদের উপর অন্যায় সিদ্ধান্ত চাপানো হচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। সমিতির সাবেক সভাপতি দোবিলা ইসলামপুর আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক বলেন,মাদ্রাসা বোর্ডের নীতিমালায় স্পষ্ট উল্লেখ আছে, পরীক্ষা কেন্দ্রে মাদ্রাসার শিক্ষকগনই দায়িত্ব পালন করবেন। বোর্ড প্রতিষ্ঠার পর হতে এভাবেই পরীক্ষা পদ্ধতি চলে আসছে। হঠাৎ এই সিদ্ধান্তে পুরো শিক্ষকমহল স্তম্ভিত হয়েছে। বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফকির জাকির বলেন, জেডিসি পরীক্ষা মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত হওয়ার কথা। কিন্ত এমনটি কেন হচ্ছে আমার জানা নেই। তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম ফেরদৌস ইসলাম বলেন,বাংলাদেশের কোথায় রদবদল না হলেও সিরাজগঞ্জে ঠিকই হবে এমনটাই সাফ বলে দিয়েছেন।