তাড়াশ প্রতিনিধি : তাড়াশের লাউতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম-প্রহরী নিয়োগে প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতা জালিয়াতি করে প্রার্থীর বিরুদ্ধে আবেদন করার লিখিত অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ওই প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিলের জন্য তালম ইউনিয়নের গোন্তা গ্রামের আজিজুল হক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলার ১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম-প্রহরী পদে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগ করার লক্ষ্যে গত ৯ আগষ্ট উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সে মোতাবেক ২০ আগষ্ট প্রার্থীদের আবেদন জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল। যেখানে প্রার্থীর বয়স আবেদন করার শেষ দিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩০ বছর নিয়মানুযায়ী হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এছাড়া আবেদন চলাকালীন ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সের সীমাবদ্ধতা ও বয়সের সংশোধনী গ্রহণযোগ্য না থাকলেও প্রার্থী মুকুলের ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ্য করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, লাউতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম-প্রহরী নিয়োগের আবেদনে লাউতা গ্রামের রওশন আলীর ছেলে মুকুল হোসেনের জন্ম তারিখ ১১ই মে ১৯৮৭ (৩১ বছর ৪ মাস ১০ দিন) থাকলেও আবেদনের সময় তার জম্ম নিবন্ধন জালিয়াতি করে আবেদন করেন। প্রার্থী মুকুল হোসেন ২০০২ সালে কুন্দাশন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করেন। সে অনুযায়ী তার বয়স জালিয়াতির মাধ্যমে কম দেখিয়ে আবেদন করেছেন।এ প্রসঙ্গে ইউএনও ও দপ্তরী কাম-প্রহরী নিয়োগ কমিটির সভাপতি এস এম ফেরদৌস ইসলাম জানান, যাচাই-বাছাইয়ের সময় বয়স জালিয়াতি বা প্রতারণা প্রমাণিত হলে আবেদন বাতিল করা হবে।
